এশার নামায ১০ রাকাত। ৪ রাকাত সুন্নত, ৪ রাকাত ফরজ এবং ২ রাকাত সুন্নত। অনেকে এশার নামজের সাথে ৩ রাকাত বেতরের নামাযও আদায় করেন। এশার নামাযের নিয়ম পরিপূর্নভাবে এখানে আলোচনা করা হল।
৪ রাকাত সুন্নত এশার নামাযের নিয়ম
প্রথমে নিয়ত করতে হবে –
নাওয়াইতু আন উছল্লিয়া লিল্লাহি তাআ’লা আরবাআ’ রাকআ-তি ছালা-তিল ঈশা-ই সুন্নাতু রাসূলিল্লা-হি তাআ’লা মুতাওয়াজ্জিহান ইলা-জিহাতিল কা’বাতিশ শারিফাতি আল্লাহু আকবার।
এরপর যথাক্রমে,
তাকবিরে তাহরিমা, সানা পাঠ, এরপর সূরা ফাতিহার সাথে মিলিয়ে আরেকটি সূরা মিলাতে হবে (কমপক্ষে ৩ আয়াত), রুকূ এবং সিজদা দিতে হবে। দুই রাকাতের মধ্যবর্তী সময়ে বসে তাশাহুদ পাঠ করতে হবে। আবার চতুর্থ রাকাতে বসে তাশাহুদ, দরূদ এবং দোয়া মাছুরা পরে সালাম ফিরাতে হবে।
৪ রাকাত ফরজ নামাযের নিয়ম
প্রথমে নিয়ত করতে হবে –
নাওয়াইতু আন উছল্লিয়া লিল্লাহি তাআ’লা আরবাআ’ রাকআ-তি ছালা-তিল ঈশা-ই ফারদ্বীল্লা-হি তাআ’লা,মুতাওয়াজ্জিহান ইলা-জিহাতিল কা’বাতিশ শারিফাতি আল্লাহু আকবার।
এরপর যথাক্রমে,
তাকবিরে তাহরিমা, সানা পাঠ, এরপর সূরা ফাতিহার সাথে মিলিয়ে আরেকটি সূরা মিলাতে হবে (কমপক্ষে ৩ আয়াত), রুকূ এবং সিজদা দিতে হবে। দুই রাকাতের মধ্যবর্তী সময়ে বসে তাশাহুদ পাঠ করতে হবে। আবার চতুর্থ রাকাতে বসে তাশাহুদ, দরূদ এবং দোয়া মাছুরা পরে সালাম ফিরাতে হবে।
২ রাকাত সুন্নত নামাযের নিয়ম
প্রথমে নিয়ত করতে হবে –
নাওয়াইতু আন উছল্লিয়া লিল্লাহি তাআ’লা রাকয়াতাই ছালাতিল ঈশা-ই সুন্নাতু রাসূলিল্লা-হি তাআ’লা,মুতাওয়াজ্জিহান ইলা-জিহাতিল কা’বাতিশ শারিফাতি আল্লাহু আকবার।
এরপর যথাক্রমে,
তাকবিরে তাহরিমা, সানা পাঠ, এরপর সূরা ফাতিহার সাথে মিলিয়ে আরেকটি সূরা মিলাতে হবে (কমপক্ষে ৩ আয়াত), রুকূ এবং সিজদা দিতে হবে। ২য় রাকাতে বৈঠকের সময়ে বসে তাশাহুদ, দরূদ এবং দোয়া মাছুরা পরে সালাম ফিরাতে হবে।
৩ রাকাত বিতর নামাযের নিয়ম
প্রথমে নিয়ত করতে হবে –
নাওয়াইতু আন উছল্লিয়া লিল্লাহি তাআ’লা সালা-সা রাকয়াতাই ছালাতিল বিতরি ওয়া-জিবুল্লা-হি তাআ’-লা মুতাওয়াজ্জিহান ইলা-জিহাতিল কা’বাতিশ শারিফাতি আল্লাহু আকবার।
এরপর যথাক্রমে,
তাকবিরে তাহরিমা, সানা পাঠ, এরপর সূরা ফাতিহার সাথে মিলিয়ে আরেকটি সূরা মিলাতে হবে (কমপক্ষে ৩ আয়াত), রুকূ এবং সিজদা দিতে হবে। দুই রাকাতের মধ্যবর্তী সময়ে বসে তাশাহুদ পাঠ করতে হবে। ৩য় রাকাতে সূরা ফাতিহার সাথে অন্য সূরা মিলানোর পর আল্লাহু আকবর বলে আবার হাত বাঁধতে হবে এবং দোয়ায়ে কুনুত পাঠ করতে হবে। ৩য় রাকাতে বৈঠকের সময়ে বসে তাশাহুদ, দরূদ এবং দোয়া মাছুরা পরে সালাম ফিরাতে হবে।
এশার নামাযের নিয়ম নিয়ে অনেকের মনেই যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে, আশা করি আজকের লেখা পড়ার পর আপনাদের এই সন্দেহ দূড় হয়ে যাবে।