বাট্টা বলতে কি বুঝায়? বাট্টার প্রকারভেদ।(What is discount?)

সাধারণ অর্থে,কোনো বস্তুর নির্ধারিত মূল্য অপেক্ষা কম মূল্যে ক্রয় সম্ভব হলে,যতটুকু মূল্য কম পরিশোধ করা হলো,তাই বাট্টা।ব্যবসায় প্রতিষ্টানে এই বাট্টা দেওয়া ও পাওয়া উভয় হয়ে থাকে।

সারসংক্ষেপঃ বাট্টা বা Discount ক্রেতা কে বিক্রেতা দেয় তার সাথে সু সম্পর্ক বজায় রাখার জন্য।

উদাহরণঃ ‘ক’ একজন দোকানদার বা বিক্রেতা। এবং ‘খ’ একজন গ্রাহক বা ক্রেতা।’খ’ মোট ৫০০ টাকার জিনিস ক্রয় করলো। ‘ক’ বা দোকানদার তাকে ১০% হিসাবে ৫০ টাকা বাট্টা দিল। সূতরাং ‘ক’ এর পরিশোধ করতে হবে ৪৫০ টাকা,যেহেতু ৫০ টাকা বাট্টা ।

বাট্টার প্রকারভেদঃ

বাট্টা দুই প্রকার,যথাঃ ১-কারবারি বাট্টা. ২-নগদ বাট্টা।আবার কারবারি বাট্টা কে দুই ভাগে ও নগদ বাট্টা কে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

কারবারি বাট্টাঃ ১ঃ ক্রয় বাট্টা। ২ঃবিক্রয় বাট্টা। ঃঃ নগদ বাট্টাঃ ১ঃপ্রদত্ত বাট্ট। ২ঃপ্রাপ্ত বাট্টা।

কারবারি বাট্টা (Trade discount):

বিক্রেতা পণ্যের বিক্রয়মূল্য নির্ধারণ করে।বিক্রয় বৃদ্ধির জন্য বিক্রেতা যখন পূর্বে নির্ধারিত বিক্রয়মূল্য অপেক্ষা কম মূল্যে পণ্য বিক্রয় করে,তা কারবারি বাট্টা হিসেবে গণ্য করা হয়।এই কারবারি বাট্টা বিক্রেতার জন্য বিক্রয় বাট্টা এবং ক্রেতার জন্য ক্রয় বাট্টা।ক্রেতা বা বিক্রেতা কেউই এই বাট্টার হিসাব রাখে নাহ।ক্রয়-বিক্রয় যে মূল্যে হয় তাই হিসাবে লিপিবদ্ধ করা হয়।

সারসংক্ষেপঃ কারবারি বাট্টা বা discount দেই বিক্রেতা ।ক্রেতার সাথে সুসম্পর্ক বৃদ্ধির জন্য ও ক্রেতা কে কম মূল্যে ভালো জিনিস দেওয়ার উদ্দেশ্যে।

নগদ বাট্টা(Cash discount):

ব্যবসায়ে ক্রয়-বিক্রয় প্রায়ই বাকিতে সংঘটিত হয়।দ্রুত দেনা-পাওনা শেষ করার জন্য বিক্রেতা ক্রেতাকে যে টাকা ছাড় দেয় তাই নগদ বাট্টা।যেহেতু এই বাট্টা বিক্রেতা দেয় তাই এটি তার জন্য প্রদত্ত বাট্টা।এবং এই বাট্টা ক্রেতা পাই তাই ক্রেতার জন্য এটি প্রাপ্ত বাট্টা। ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয় তাদের হিসাবে এটি লিপিবদ্ধ করে।

বাট্টা বের করার নিয়মঃ

প্রশ্নঃ বাবুল ট্রেডার্স হতে ১০% বাট্টায় পণ্য ক্রয় ১৫০০০ টাকা।

উত্তরঃ

মোট পণ্য ক্রয়= ১৫০০০ টাকা

(-)কারবারি বাট্টা=১৫০০০ * ১০%=১৫০০ টাকা

বাবুল ট্রেডার্স এর ্পাওনা =১৩৫০০ টাকা।

Leave a Comment