দাদ রোগের চিকিৎসা
দাদ একধরনের মারাত্মক চর্মরোগ। ফাঙ্গাল ইনফেকশনের কারণে এটি হয়ে থাকে। এর অন্য নাম রিং ওয়ার্ম। এটি একধরনের ছোঁয়াচে রোগ। এ রোগের কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপসর্গ হল চুলকানি এবং তার চারপাশে লালচে গোলাকার ছোপ। সময় মত দাদ রোগের চিকিৎসা না নিলে দাদ সাড়া শরীরে ছড়িয়ে পরবে।
দাদ রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা
- পেঁপে: কাঁচা পেঁপে অ্যান্টি-ফাঙ্গাল। এটি ফাঙ্গাল ইনফেকশনের বিরুদ্ধে কাজ করতে সক্ষম। কাঁচা পেঁপে ছোট করে কেটে প্রতিদিন ১৫-২০ করে ভাল করে ঘষে হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
- নিম পাতা: নিম পাতা হল একটি মহোঔষধ। যেকোন রোগেই এটা ব্যবহার করা যায়। নিম পাতার আছে অ্যান্টিসেপটিক এবং অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল ক্ষমতা। নিম পাতা বেঁটে তার সাথে হালকা নারিকেল তেল মিশিয়ে আক্রান্ত স্থানে লাগানো যেতে পারে এবং বড়ি বানিয়ে খেতে পারেন।
- রসুন: দাদের চিকিৎসায় রসুন সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি উপাদান। রসুনের প্রাকৃতিক অ্যান্টি-ফাঙ্গাল উপাদান যে কোন ধরনের ফাঙ্গাল ইনফেকশনে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
- অ্যালোভেরা: ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে এর জনপ্রিয়তা বেশি হলেও। অনেকেই জানেন না যে এটি দাদ রোগ কমাতেও ব্যবহার করা যায়। অ্যালোভেরা পাতা কাটলে যে আঠালো পদার্থ পাওয়া যায়। সেটা সরাসরি আক্রান্ত স্থানে লাগাতে হবে। রাতে লাগিয়ে সারারাত রেখে দিতে হবে এবং সকালে ধুয়ে ফেলতে হবে।
যে কাজগুলো অবশ্যই করনীয়
- গোসলের পর ভাল করে শরীর মুছতে হবে যাতে কোথাও ভেজা না থাকে।
- আক্রান্ত স্থান ঘামতে দেয়া যাবে না।
- দাদ আক্রান্ত স্থানে সাবান দেয়া যাব না।
- ঘামাচি পাউডার ব্যবহার করে আক্রান্ত স্থান শুকনো রাখতে হবে।
- যেহেতু ছোঁয়াচে রোগ, তাই অন্যের কাপড় ব্যবহার করা যাবে না।
- প্রতিদিনের কাপড় প্রতিদিন ধুয়ে দিতে হবে।
সবশেষে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে উপদেশ টি আপনাদের জন্য থাকবে তা হল, দাদ একটি মারাত্মক চর্মরোগ। সময়মত চিকিৎসা না করলে এর থেকে আরো অনেক জটিলতা হতে পারে। তাই দেরি না করে যত-সম্ভব দ্রুত একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন।
2 thoughts on “দাদের চিকিৎসা”